উত্তর: দেশের শাসন ব্যবস্থায় ও প্রক্রিয়ায় ইলেকট্রনিক বা ডিজিটাল পদ্ধতির প্রয়োগই হচ্ছে ই-গর্ভন্যান্স। বাংলাদেশের সরকারি বা বেসরকারি সকল প্রতিষ্ঠানকে আধুনিক ও যুগোপযোগী করার পাশাপাশি সচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্তি করার জন্য ই-গর্ভন্যান্স অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যা নিচে আলোচনা করা হলো-

১‌. পূর্বে যেকোনো পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হওয়ার সাত দিন পরেও পরেও দূরবর্তী গ্রামে অবস্থানরত শিক্ষার্থীরা তা জানতে পারত না। কিন্তু বর্তমানে ফল প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে ইন্টারনেটে ও মোবাইল ফোনের এসএমএস এর মাধ্যমে তা সবাই জানতে পারে।

২. ই-গর্ভন্যান্স এর জন্য বর্তমানে যে কোনো উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সশরীরে ভর্তির আবেদন না করে শিক্ষার্থীরা ইন্টারনেট ও মোবাইল ফোনের এসএমএস এর মাধ্যমে আবেদন করতে পারছে।

৩. জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সকল সেবা স্বল্প সময়ে, কম খরচে ও ঝামেলাহীনভাবে পাওয়া সম্ভব হচ্ছে।

৪. বিদ্যুৎ বিল, গ্যাস বিল, পানির বিল অনলাইনে ও মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পরিশোধ করা সম্ভব হচ্ছে।

৫. ই-গর্ভন্যান্স চালুর ফলে সরকারি দপ্তর সমূহের মধ্যে আন্তঃসংযোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে, কর্মীদের দক্ষতাও বাড়ছে।