বিশ্ব ও বাংলাদেশ প্রেক্ষিত (সৃজনশীল প্রশ্ন ও সমাধান): পাঠ-০১
February 10, 2016 2016-02-19 15:38বিশ্ব ও বাংলাদেশ প্রেক্ষিত (সৃজনশীল প্রশ্ন ও সমাধান): পাঠ-০১
বিশ্ব ও বাংলাদেশ প্রেক্ষিত (সৃজনশীল প্রশ্ন ও সমাধান): পাঠ-০১
প্রশ্ন নং-০১. নিচের উদ্দীপকটি পড়ো এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:
কম্পিউটার প্রকৌশলী জনাব জনাব তৌহিদুজ্জামান একটি কলেজের ডিজিটাল মাল্টিমিডিয়াসহ কম্পিউটার ল্যাব উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রন পেলেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছাত্রদের উদ্দেশ্যে একটি সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি বলেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মানবসভ্যতাকে দারুনভাবে এগিয়ে নিয়ে চলেছে। বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে আগ্রহ বৃদ্ধিতে এবং অনলাইনে পড়াশুনার ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভিন্নভাবে দায়িত্ব পালন করে চলেছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মানুষের অপকারও করছে। তারপর নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষা প্রয়োজনেই আজ আমাদের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি শিক্ষা গ্রহণ আবশ্যিক হয়ে পরেছে।
ক. তথ্য ও প্রযুক্তি কী?
খ. তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার বলতে কী বুঝ?
গ. জনাব তৌহিদুজ্জামান বক্তব্যে ছাত্রদের উদ্দেশ্যে কী কী ইঙ্গিত দিয়েছেন তা বনর্ণা কর।
ঘ. জনাব তৌহিদুজ্জমান কোন শিক্ষাকের আবশ্যিক হয়ে পরেছে বলে মনে করেন তা কারনসহ বিশ্লেষণ কর।
উত্তরঃ
ক) যে প্রযুক্তি মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ , এর সত্যতা ও বৈধতা যাচাই, সংরক্ষন, প্রক্রিয়াকরণ, আধুনিকরণ ও ব্যবস্থাপনা করা হয় তাকে তথ্য প্রযুক্তি বা ইনফরমেশন টেকনোলজি এবং সংক্ষেপে এই প্রযুক্তিকে আইটি (IT) বলা হয়।
খ) তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্র বিশাল। যেমন-তথ্য সংগ্রহ প্রক্রিয়াকরণ, সাধারন টেলিফোন থেকে শুরু করে অত্যাধুনিক সুপার কম্পিউটার, রেডিও টেলিভিশনসহ সকল ধরনের একমূখী যোগাযোগ ব্যবস্থা, ইন্টারনেট ও ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব ইত্যাদি ক্ষেত্রগুলোতে ব্যবহৃত হয়।
গ) জনাব তৌহিদজ্জামান ছাত্রদের উদ্দেশ্যে বলেন, এই প্রতিষ্ঠানে থাকবে একটি ডিজিটাল লাইব্রেরি তথা সমস্ত বই থাকবে পিডিএফ ফরমেটে। শ্রেনিকক্ষে শিক্ষার্থীদের প্রতিটি বেঞ্চের সাথে থাকবে ইন্টারনেট সংযোগসহ কম্পিউটার, ফলে শিক্ষার্থীদের বই পুস্তক আনতে হবে না। শিক্ষার্থীরা এখানে বসে কম্পিউটার ব্যবহার করেই পড়াশুনা করতে পারবে এবং পৃথিবীতে সকল দেশের শিক্ষার্থীরা কী শিখছে তা সে ইচ্ছে করলেই দেখতে পারবে। তারা চাহিলেই যেকোনো দেশে যেকোনো সিলেবাসের পরীক্ষা দিয়ে সার্টিফিকেট অর্জন করতে পারবে। প্রথমিক শ্রেনিগুলোতে কার্টুন চিত্রের মাধ্যমে বর্ণ পরিচয়, গুলোর মাধ্যমে শিক্ষাদান, উচ্চারণ শেখা, প্রশ্নত্তরের মাধ্যমে শিক্ষা ইত্যাদি প্রক্রিয়ায় কম্পিউটার ব্যবহার করে শিক্ষাদান করতে পারবে। ইমেজ, অডিও, ভিডিও, এনিমেশনের সংমিশ্রণের ডিজিটাল কনটেন্ট তৈরী করে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরের মাধ্যমে ক্লাস নিতে পারে। ফলে এক একটি ক্লাস হবে বিশ্বমানের এবং ছাত্ররা বাস্তব জ্ঞানের অধিকারী হবে।
ঘ) জনাব তৌহিদুজ্জামান তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি শিক্ষাকে আবশ্যিক হয়ে হয়ে পড়বে বলে মনে করেন; কেননা জীবনের প্রতিমুহূর্তে আজ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহারে অত্যাবশ্যক হয়ে পড়েছে। আজকে যারা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুুক্তিতে অজ্ঞ থাকবে তারা ব্যক্তিগত ও রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন কাজে পিছিয়ে পড়বে। আজকে যোগাযোগ, কর্মসংস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা, গবেষাণা,অফিস,আদালত, ব্যবসা-বাণিজ্য, সংবাদ, বিনোদন ও সামাজিক যোগাযোগ, সাংস্কৃতিক বিনিময় প্রাত্যহিক জীবনে তথ্য ও যোগাযোগ, প্রযুক্তির ব্যবহার হচ্ছে; অথচ কেউ যদি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পর্কে জ্ঞান লাভ না করে তাহলে সে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারেবে না। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিতে অজ্ঞতা রাষ্ট্রীয় ও সমাজজীবনে ডিজিটাল ডিভাইস তৈরী করবে। ফলে দেশ আধুনিক রাষ্ট্র থেকে পিছিয়ে পড়বে।
Comments (2)
Sajjad Hasan
I think per lesson theke inportant joto qus ache shegulo post korle valo hoi
Anwar Hossain
We are trying. Stay with us…………..
Thanks