টেলিকনফারেন্সিং ও ভিডিও কনফারেন্সি কী? টেলিকনফারেন্সিং এবং ভিডি ও কনফারেন্সিং বিষয় দুটির মধ্যে তুলনামূলক আলোচনা কর।
May 13, 2015 2015-05-13 0:03টেলিকনফারেন্সিং ও ভিডিও কনফারেন্সি কী? টেলিকনফারেন্সিং এবং ভিডি ও কনফারেন্সিং বিষয় দুটির মধ্যে তুলনামূলক আলোচনা কর।
টেলিকনফারেন্সিং ও ভিডিও কনফারেন্সি কী? টেলিকনফারেন্সিং এবং ভিডি ও কনফারেন্সিং বিষয় দুটির মধ্যে তুলনামূলক আলোচনা কর।
উত্তর: টেলিকনফারেন্সিং: টেলিযোগাযোগের মাধ্যমে সভা অনুষ্ঠানের প্রক্রিয়াকে বলা হয় টেলিকনফারেন্সিং। বিশ্বের যেকোনো জায়গা থেকে যেকোনো ব্যক্তিই টেলিফোন মাধ্যম ব্যবহার করে টেলিকনফারেন্স করতে পারে। এই ব্যবস্থায় সভায় অংশগ্রহণকারী কিবোর্ডের মাধ্যমে কেন্দ্রিয় কম্পিউটারে তাদের বক্তব্য বা জবাব পাঠায়। বিভিন্ন ধরনের টেলিকনফারেন্সিং ব্যবস্থা রয়েছে। যেমন- পাবলিক কনফারেন্স, ক্লোজড কনফারেন্স এবং রিড অনলি কনফারেন্স। পাবলিক কনফারেন্স সকলের জন্য উন্মুক্ত। যে কেউ এই কনফারেন্স অংশগ্রহণ করতে পারে। ক্লোজড কনফারেন্স সবার জন্য উন্মুক্ত নয়, পাসওয়ার্ড প্রটেকটেড। নির্দিষ্ট ব্যক্তিবর্গই এতে অংশগ্রহণ করতে পারেন। টেলিকনফারেন্সিং সফটওয়্যার ব্যবস্থার মাধ্যমে এগুলো নিয়ন্ত্রিত হয়।
ভিডিও কনফারেন্সিংঃ এটি এমন একটি কনফারেন্সিং ব্যবস্থা যেখান মনিটর বা পর্দায় অংশগ্রহণকারীর পরস্পরের সম্মুখীন হয়ে একে অপরকে দেখে কথোপকথনে অংশগ্রহণ করে।
ভিডিও কনফারেন্সিং একটি ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক যোগযোগ ব্যবস্থা। এক জায়গা থেকে বা এক দেশ হতে অন্য দেশে যেকোনো ব্যক্তি ইন্টারনেট সংযোগের মাধ্যমে ভিডিও কনফারেন্সিং করতে পারে। এজন্য বিশেষ কিছু সফটওয়্যার ব্যবহার করতে হয়। বড় বড়– বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সাধারণত বিভিন্ন সফটওয়্যার কোম্পানির তৈরি করা বাণিজ্যিক সফটওয়্যাটসমূহ এই কাজে ব্যবহার করে। তবে সর্বসাধারণের ক্ষেত্রে বিশ্বের বহু দেশের মতো আমাদের দেশের লোকজনও এখন স্কাইপ বা ইয়াহু মেসেঞ্জার ব্যবহার করে খুব সহজেই ভিডিও কনফারেন্সিং করে থাকেন।
টেলিকনফারেন্সিং এবং ভিডিও কনফারেন্সিং এর মধ্যে পার্থক্য-
তুলনার বিষয় | টেলিকনফারেন্সিং | ভিডিও কনফারেন্সিং |
১. মূল বৈশিষ্ট্য | সভা সমাবেশেগুলো হয়ে থাকে টেলিযোগাযোগের মাধ্যমে যা কথোপকথন এর মধ্যেই সীমাবদ্ধ। | সভা সমাবেশে উপস্থিত লোকজন একে অপরকে স্ক্রিনে দেখতে পারে। |
২. যন্ত্রপাতি ও সফটওয়্যার | টেলিকনফারেন্সিং এ ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি ও সফটওয়্যারগুলো তুলনামূকভাবে কম শক্তিশালী হয়ে থাকে। | ভিডিও কনফারেন্সিংয়ে তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি যন্ত্রপাতি ও শক্তিশালী সফটওয়্যারের প্রয়োজন বেশি। |
৩. ব্যবহার | মূলত ব্যবসায়-বাণিজ্যের ক্ষেত্রেই বেশি ব্যবহৃত হয়। | ব্যবসায়-বাণিজ্যে, রাজনৈতিক, স্বাস্থ্যখাতের টেলিমেডিসিন সেবায়, শিক্ষাখাতে বেশি ব্যবহৃত। |
Comments (7)
Mahin
Khub vhalo
faruk1860
Thanks
Anisur
gd
Aktarul islam
veri nice
Raja
thanks
azizul
Thanks
master sifu
very good