কমিউনিকেশন সিস্টেমস ও নেটওয়ার্কিং (সৃজনশীল প্রশ্ন ও সমাধান) : পাঠ – ০৬
March 12, 2016 2016-03-12 18:04কমিউনিকেশন সিস্টেমস ও নেটওয়ার্কিং (সৃজনশীল প্রশ্ন ও সমাধান) : পাঠ – ০৬
কমিউনিকেশন সিস্টেমস ও নেটওয়ার্কিং (সৃজনশীল প্রশ্ন ও সমাধান) : পাঠ – ০৬
প্রশ্নঃ নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
বর্তমানে বিশ্বে সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল ক্ষেত্র হলো তথ্য প্রযুক্তি ক্ষেত্র। তথ্য প্রযুক্তিতে বাংলাদেশের রয়েছে উজ্জ্বল সম্ভাবনা। আর এজন্য প্রয়োজন উচ্চগতি ইন্টারনেট। এই বাস্তবতা উপলব্ধি করে বাংলাদেশ সরকার ২০০৬ সালের মে মাসে অপটিক্যাল ফাইবার যুগের প্রবেশ। যা ছিল বাংলাদেশের জন্য একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ।
ক. সিমপ্লেক্স মোড কাকে বলে?
খ. কমিউনিকেশন সফটওয়্যার বলতে কী বুঝায়?
গ. উদ্দীপকের প্রযুক্তিটির গঠনচিত্র বর্ণনা কর।
ঘ. বাংলাদেশ সরকারের পদক্ষেপকে যুগান্তকারী বলার যৌক্তিকতা বিশ্লেষণ কর।
উত্তরঃ
ক) যে পদ্ধতিতে প্রেরক কম্পিউটার প্রাপক কম্পিউটারে ডাটা প্রেরণ করে কিন্তু প্রাপক কম্পিউটার প্রেরক প্রেরক কম্পিউটারে কোনো ডাটা প্রয়োগ করতে পারে না তাকে সিমপ্লেক্স মোড বলা হয়।
খ) অর্থপূর্ণ এবং সার্থক যোগাযোগের জন্য প্রেরক ও গ্রাহক কম্পিউটারের মধ্যে বিধি মোতাবেক উপাত্ত স্থানান্তর করতে হয়। পরস্পর সম্মত এ বিধিকে যোগাযোগ প্রটোকল (Protocol) এবং এ প্রটোকল স্থাপনের জন্য ব্যবহৃত সফটওয়্যারকে কমিউনিকেশন সফটওয়্যার বলা হয়। উপাত্ত যোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ এবং পরিচালনার জন্য হোস্ট কম্পিউটার অথবা ফ্রন্ট এন্ড কম্পিউটার এবং অন্যান্য কম্পিউটারে ব্যবহৃত প্রোগ্রামসমূহ কমিউনিকেশন সফটওয়্যারের উদাহরণ। কম্পিউটার টার্মিনালের মধ্যে সংযোগ স্থাপন এবং ব্যবহারকারীর প্রোগ্রামের সাথে নেটওয়ার্কের সংযোগ স্থাপনের ব্যবহৃত কমিউনিকেশন অ্যাকসেস প্রোগ্রাম এবং নেটওয়ার্ক কন্ট্রোল প্রোগ্রামও কমিউনিকেশন সফটওয়্যারের আওতাভুক্ত।
গ) উদ্দীপকে অপটিক্যাল ফাইবার প্রযুক্তির কথা বলা হয়েছে।
অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল তিনটি অংশের সমন্বয়ে গঠিত। অংশ তিনটি হলো কোর (Core), ক্লাডিং (Cladding) এবং জ্যাকেট (Jacket)। সবচেয়ে ভিতরের অংশটি হচ্ছে কোর যা কাচ বা প্লাস্টিকের তৈরি এক বা একািধক আশেঁর সমন্বয়ে গঠিত। কোরের ব্যাস ৮ থেকে ১০০ মাইক্রোমিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। আলোক সিগন্যাল সঞ্চারের প্রধান কাজটি করে কোর। কোরের ঠিক বাইরের স্তরটি হচ্ছে ক্লাডিং। ক্লাডিং এর সাথে ১২৫ মাইক্রোমিটার। ক্লাডিং কাচ বা প্লাস্টিকের তৈরি যা কোর থেকে নির্গত আলোকরশ্মি প্রতিফলিত করে তা পুনরায় কোরে ফেরত পাঠায়। বাফার এর ব্যাস ২৫০ মাইক্রোমিটার। বাইরের অংশটি হলো জ্যাকেট যা ক্লাডিং এবং কোরকে আবৃত করে রাখে। এটি প্লাস্টিক বা অন্যান্য পদার্থের সমন্বয়ে তৈরি একটি আবরণ, যা ফাইবারকে আর্দ্রতা, ঘর্ষণ, মচকানো এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা করে। জ্যাকেট এর ব্যাস ৪০০ মাইক্রোমিটার। অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল তৈরির উপাদানগুলো হলো- সোডা, বোরো সিলিকেট, সোডালাইম সিলিকেট, সোডা অ্যালুমিনা সিলিকেট ইত্যাদি।
ঘ) ক্যাবলের মাধ্যোেম ডেটা প্রেরণের ক্ষেত্রে অপটিক্যাল ফাইবার হলো সর্বাধুনিক প্রযুক্তি। অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল হচ্ছে কাচের তন্তুর তৈরি এক ধরনের ক্যাবল যার মাধ্যমে আলোর গতিতে ডেটা আদান-প্রদান করা হয়। হাজার হাজার কাচের তন্তু ব্যবহার করে এ ধরনের ক্যাবল তৈরি করা হয়। এ ক্যাবলের মধ্য দিয়ে ডেটা স্থানান্তরের ক্ষেত্রে লেজার রশ্মি ব্যবহার করা হয়। সাধারণত ফাইবারের জ্যাকেট হিসেবে প্লাস্টিক ব্যবহৃত হয়ে থাকে। বর্তমানে যে সমস্ত অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল পাওয়া যায় তার ডেটা ট্রান্সমিশন হার 100Mbps থেকে 2Gbps।
সারা বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হলে এবং তথ্য প্রযুক্তিতে উন্নতি করতে হলে উন্নতমানের তথ্য যোগাযোগ ব্যবস্থা দরকার যা এখন পর্যন্ত অপটিক্যাল ফাইবার ছাড়া সম্ভব নয়। এর মধ্যে খুব দ্রুত বিপুল পরিমাণ ডেটা সমুদ্রের তলদেশে ফিরে সারাবিশ্বে আদান-প্রদান করা যায়। প্রযুক্তিতে যোগ দেওয়ার পরে বিশ্বে সম্ভাবনার নতুন দিক উম্মেচিত হয়েছে। মানুষের অর্থ উপার্জনের অনেক পথ খুলে গেছে। সুতরাং এটি একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ।