কমিউনিকেশন সিস্টেমস ও নেটওয়ার্কিং (সৃজনশীল প্রশ্ন ও সমাধান) : পাঠ – ০৫
March 12, 2016 2016-03-12 15:50কমিউনিকেশন সিস্টেমস ও নেটওয়ার্কিং (সৃজনশীল প্রশ্ন ও সমাধান) : পাঠ – ০৫
কমিউনিকেশন সিস্টেমস ও নেটওয়ার্কিং (সৃজনশীল প্রশ্ন ও সমাধান) : পাঠ – ০৫
প্রশ্নঃ নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
কম্পিউটার নেটওয়ার্ক করার জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ কম্পিউটার ছাড়াও কিছু ডিভাইসের প্রয়োজন। এদেরকে নেটওয়ার্ক ডিভাইস বলা হয়। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- (i) মডেম, (ii) হাব, (iii) রাউটার ইত্যাদি।
ক. Network Interface Card কী?
খ. Band Width ব্যাখ্যা কর।
গ. ii ও iii নং ডিভাইসের সুবিধা-অসুবিধা বর্ণনা কর।
ঘ. কম্পিউটারে ইন্টারনেট বা নেটওয়ার্ক চালাতে i ডিভাইসের গুরুত্ব মূল্যায়ন কর।
উত্তরঃ
ক) দুই বা ততোধিক কম্পিউটারের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপেনের জন্য স্থাপিত কার্ডকে নেটওয়ার্ক কার্ড বা ল্যান কার্ড বলে। এ কার্ডকে নেটওয়ার্ক ইসন্টাফেস কার্ড বা নেটওয়ার্ক অ্যাডপ্টার বা LAN Cardও বলা হয়।
খ) এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে বা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে ডেটা স্থানান্তরের হারকে ডেটা ট্রান্সমিশন স্পীড বলা হয়। এ ট্রান্সমিশন স্পীডকে ব্যান্ড উইড্থ (Band Width) বলা হয়। সাধারণত bit per second (bps) দ্বারা Bandwidth হিসাব করা হয়। অর্থাৎ প্রতি সেকেন্ডে যে পরিমাণ বিট ট্রান্সফার হয় তাকে bps বা Band Width বলে।
গ) ii নং ডিভাইসের নাম হলো হাব। হাব হলো নেটওয়ার্কের ডিভাইসসমূহের জন্য একটি সাধারণ কানেকশন পয়েন্ট। ল্যানের সেগমেন্টগুলো নিচের হাবের সুবিধা ও অসুবিধা তুলো ধরা হলো।
হাবের সুবিধা (Advantages of Hub):
১. দাম কম
২. বিভিন্ন মিডিয়ামকে সংযুক্ত করতে পারে।
হাবের অসুবিধা (Disadvantages of Hub):
১. নেটওয়ার্ক ট্রাফিক বৃদ্ধি পায়।
২. ডেটা আদান-প্রদানে বাধার সম্ভবনা থাকে।
৩. ডেটা ফিল্টারিং সম্ভব হয় না।
iii নং ডিভাইস হলো রাউটার। এটি একটি বুদ্ধিমান ইন্টারনেটওয়ার্ক কানেকটিভিটি ডিভাইস যা লজিক্যাল এবং ফিজিক্যাল অ্যাড্রেস ব্যবহার করে দুই বা ততোধিক নেটওয়ার্ক। সেগমেন্টের মধ্যে ডেটা আদান-প্রদানের ব্যবস্থা করে। নিচে রাউটারের সুবিধা ও অসুবিধা তুলে ধরা হলো।
রাউটারের সুবিধাসমূহ:
১. ডেটা ট্রান্সমিশনের ক্ষেত্রে বাধার সম্ভবনা কমায়।
২. ডেটার ফিল্টারিং সম্ভব হয়।
৩. বিভিন্ন ধরনের নেটওয়ার্ক যেমন- ইথারনেট, টোকেন, রিং ইত্যাদিকে সংযুৃক্ত করতে পারে।
রাউটারের অসুবিধাসমূহ:
১. রাউটারের দাম বেশি।
২. রাউটার একই প্রটোকল নেটওয়ার্ক ছাড়া সংযুক্ত হতে পারে না।
৩. কনফিগারেশন তুলনামুলক জটিল।
৪. ধীরগতিসম্পন্ন
ঘ) i নং ডিভাইস হলো মডেম। ডেটা স্থানান্তর ব্যবস্থায় অনেক রকম মাধ্যম ব্যবহৃত হতে পারে। এদের মধ্যে টেলিফোন লাইন, মাইক্রোওয়েভ উল্লেখযোগ্য। টেলিফোন লাইনের মধ্য দিয়ে অ্যানালগ সংকেত আদান-প্রদান হয়। কিন্তু কম্পিউটারে প্রদত্ত ডেটা ও তথ্য প্রকৃতপক্ষে ডিজিটাল সংকেত। কাজেই ডেটা কমিউনিকেশনের জন্য ডিজিটাল সংকেতকে অ্যানালগ সংকেত এবং অ্যানালগ সংকেতকে ডিজিটাল সংকেতে পরিণিত করার প্রয়োজন হয়।
মডেম কম্পিউটারের ডিজিটাল সংকেতকে অ্যানালগ সংকেতে পরিণিত করে টেলিফোন ব্যবস্থা দ্বারা গ্রাহকের নিকট প্রেরণ করে। গ্রাহক কম্পিউটারের সাথে যুক্ত মডেম সেই অ্যানালগ সংকেতকে আবার ডিজিটাল সংকেতে পরিণিত করে তা কম্পিউটারের ব্যবহারোপযোগী করে। প্রেরক ও গ্রাহক উভয় প্রান্তে মডেম ব্যবহার করা হয়। প্রেরক কম্পিউটারে ডিজিটাল সংকেত উৎপন্ন করে। মডেম ডিজিটাল সংকেতকে অ্যানালগ সংকেতে রুপান্তরিত করে টেলিফোন লাইনে পাঠায়। অপর প্রান্তে সংযুক্ত মডেম আবার অ্যানালগ সংকেতকে ডিজিটাল সংকেতে রুপান্তারিত করে প্রাপক কম্পিউটারে পৌঁছায়। i নং ডিভাইস ছাড়া কম্পিউটারে ইন্টারনেট বা নেটওয়ার্ক চালানো সম্ভব নয়।